এক নজরে : প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রটি জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এর আওতায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের অধীনে অবস্থিত। সারা বাংলাদেশে ১০৩ টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। শেরপুরে প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র টি ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠা হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে ১ টি করে অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিজএবিলিটি কর্ণার (NDD) স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিবন্ধীদের সুরক্ষা ও অধিকার বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩ এবং নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন ২০১৩ প্রনয়ন করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইনের জেলা কমিটিতে ও জেলা স্টেয়ারিং সভাপতি হচ্ছে সম্মানিত জেলা প্রশাসক মহোদয় । সারা বাংলাদেশে ৪৫ টি মোবাইল থেরাপি ভ্যানের মাধ্যমে প্রতিটি জেলা উপজেলা, ইউনিয়ন ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিবন্ধী ও ঝুঁকিতে থাকা প্রতিবন্ধীদের সম্পূর্ন বিনামূল্যে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা দিয়ে আসছে। জামালপুর ও শেরপুর জেলার জন্য ১টি থেরাপী ভ্যান বরাদ্দ আছে যেটি জামালপুর ও শেরপুর জেলায় এক মাস অন্তর অন্তর কাজ করে। অটিজম সহ অন্যান্য প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যবস্থার পথ সুগম করার জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয় ২০০৯ প্রথম প্রতিবন্ধীতা সম্পর্কিত সমন্ধিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা ”প্রণয়ন করেন। বর্তমানে ২০১৮ এর নীতিমালা প্রনয়ণ করা হয়েছে। এ নীতিমালার আওতায় মোট ৭৪ টি বিশেষ স্কুলের শিক্ষক-কমর্চারীর ১০০% বেতন ভাতা জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক পরিশোধ করা হচ্ছে।এসব স্কুল প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তাগন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দিয়ে থাকেন। প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের (JPUF) এর মাধ্যমে ঢাকার মিরপুরে ১৫ তলা বিশিষ্টি মাল্টিপারপাস ভবন নির্মাণ করা হয়েছে এবং সাভারে আর্ন্তজাতিক মানের প্রতিবন্ধী ক্রীড়া কমপ্লেক্স স্থাপন এর জন্য দলিল প্রস্তুত করা হয়েছে।এছাড়াও জাতীয় সংসদের পাশ্ববর্তী এলাকায় প্রতিবন্ধী খেলোয়াড়দের প্র্যাকটিস মাঠ আছে । আমাদের দেশের প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দল স্পেশাল আলম্পিকে ২০১৫ সালে স্বর্ণ জয় করে এনেছে । জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন (JPUF) ঢাকায় ২ টি কর্মকর্মজীবী ( পুরুষ ও মহিলা ) হোস্টেল চালু করা হয়েছে। JPUF এর ২০১১ ক্যাম্পাসে ১ টি সম্পূর্ন অবৈতনিক স্পেশাল স্কুল ফর চিলড্রেন উইথ অটিজম চালু করা হয় এবং সারা বাংলাদেশে এর সংখ্যা ১১ টি। সরকার কর্তৃক ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর চাকুরীতে প্রতিবন্ধী ও এতিমদের জন্য ১০% এবং ১ম ও ২য় শ্রেণীর চাকুরীতে ১% কোটা যথাযথ ভাবে পুরণের পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস